
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নির্মাণাধীন দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ বৃষ্টির পানিতে ধসে গেছে। মাত্র কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই ইসলামপুর এলাকার সামাদের ঘাটে বাঁধের প্রায় ১২ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি, অথচ এরইমধ্যে ধস দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া ‘দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ১৪ নম্বর প্যাকেজের অধীনে এই বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে, যার জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কাজের দায়িত্বে থাকা ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি। এরমধ্যেই দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, বাঁধ তৈরিতে নদী থেকে তোলা বালু ব্যবহার করে তৈরি ব্লক ঠিকভাবে বসানো হয়নি। এছাড়া মনিটরিং দুর্বল থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম দাবি করেছেন, তারা নিয়ম অনুযায়ী তীর থেকে ২০০ মিটার দূর থেকে বালু তুলেছেন। তবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়ম ভেঙে কাছ থেকে বালু তুলেছেন, যার ফলে বাঁধ ধসে পড়েছে। তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী রাফিয়া আখতার জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল কোটি টাকার দুধকুমার নদীর বাঁধ, কাজের গাফিলতিতে স্থানীয়দের ক্ষোভ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নির্মাণাধীন দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়েছে। ইসলামপুর এলাকার সামাদের ঘাটে মাত্র কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই প্রায় ১২ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখনো পুরো কাজ শেষ না হলেও এরইমধ্যে ধস নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
৬৯২ কোটি টাকার ‘দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ১৪ নম্বর প্যাকেজে এই বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজের দায়িত্বে থাকলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করতে পারেনি। ইতোমধ্যে সময় দুবার বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ তৈরিতে নদী থেকে তোলা বালু দিয়ে তৈরি ব্লকগুলো সঠিকভাবে বসানো হয়নি। তদারকির অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো কাজ করছে বলেও তারা জানান।
তবে প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা নিয়ম মেনেই তীর থেকে ২০০ মিটার দূর থেকে বালু তুলেছেন। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়ম না মেনে কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় বাঁধ ধসে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন এই কর্মকর্তা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাফিয়া আখতার জানান, ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামতের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।