
আবুল হোসেন বাবলুঃ
রংপুরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি’র ছদ্মবেশে মধ্যরাতে তিন আবাসিক হোটেলে র্যাবের অভিযান। আন্তঃজেলা মলম পার্টির মূল হোতা ইমরানসহ সক্রিয় ১১ সদস্য গ্রেফতার। বিপুল পরিমাণ চেতনা নাশক ঔষধ উদ্ধার।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে র্যাব-১৩ রংপুরের ব্যাটালিয়ন সদর ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান, র্যাব-১৩ রংপুর এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি এস সি, আর্টিলারি মোহাঃ জয়নুল আবেদীন।
তিনি বলেন, ঈদ-উল-আযহা ২০২৫ উপলক্ষে বিভিন্ন অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সারা দেশে পশুরহাটে গরু ব্যবসায়ীদের চেতনানাশক ঘুমের ঔষধ এবং চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে হালুয়া তৈরি করে খাইয়ে অজ্ঞান করে গরু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা লুঠপাটসহ সর্বশান্ত করে। এই অজ্ঞান পার্টি ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল, আন্তঃজেলা মলম পার্টির মূল হোতা ইমরান খানসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মলম পার্টির সদস্যরা একত্রিত হয়ে রংপুরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে একই সময় রংপুর নগরীর ৩টি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরও বলেন, তাদের টার্গেট ছিলো দিনাজপুর জেলার আমবাড়ি গরুর হাটে কোরবানির গরু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সর্বস্বান্ত করা।
র্যাবের সফল অভিযান ও বিচক্ষণ তৎপরতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানার অন্তর্ভুক্ত হোটেল এম রহমান,হোটেল জামাল এবং হোটেল সানমুনসহ ৩টি আবাসিক হোটেল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করায় মলম পার্টির টার্গেট সফল হতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার অন্তর্ভুক্ত পাড়া গ্রাম এর মৃত দলিল উদ্দিন খান এর ছেলে ইমরান খান (৩৫), রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানাধীন পূর্ব বাগদুলী গ্রামের আব্দুল জলিল শেখ এর ছেলে আব্দুল সাদেক সেখ (২৫),টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানাধীন আথাইল শিমুল গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিন এর ছেলে লতিফ (৫৬), সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানাধীন বারপুর গ্রামের মৃত হাফেজ লোকমান হোসেন এর ছেলে খসরু আহমেদ (৪৬), গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন উত্তর ঘাগোয়া গ্রামের
মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার
সিরাজদিখান থানাধীন চরবিশ্বনাথ গ্রামের মৃত মোসলেম আলীর ছেলে
মহিবুল (৪৫), মানিকগঞ্জ জেলার
দৌলতপুর থানাধীন সমেতপুর গ্রামের মৃত বাহাদুর শেখ এর ছেলে
আঃ সালাম (৪০), মুন্সিগঞ্জ জেলার
টঙ্গীবাড়ী থানাধীন পুররা গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে চাঁন শরীফ ব্যাপারী (৬২) একই জেলার শ্রীনগর
থানাধীন কামারখোলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রিপন (৫৫), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ঘাসির পাড়া গ্রামের
মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে আজাহার উদ্দিন (৬২) এবং কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন হরিপুর নদীরকূল ফুলতলা গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫৫)।
এদের প্রত্যেকের নামে অজ্ঞান পার্টি হিসেবে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ঔষধ ও চেতনানাশক হালুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ###