
লাল মাহমুদের পুত্রদের দাবি, জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ভূরুঙ্গামারী
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারিঝার ইউনিয়নের খামার আন্ধারিঝার মৌজায় ৪৫ বছর ধরে বেদখলে থাকা ৬৩ শতক জমি অবশেষে দখলে নিয়েছেন স্থানীয় লাল মাহমুদের পুত্রগণ। জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় বিষয়টি এখন পুরো এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৃত হাসান আলীর পুত্র মো. আবু বক্কর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে জেএল নং ৫৭, সিএস খতিয়ান নং ২০৪, দাগ নং ৩৫১৭, ৩৫৩৬, ৩৫৩৭ ও ৩৫৪৪ দাগে মোট ৬৩ শতক জমি দখল করে ভোগদখল করে আসছিলেন। তিনি দাবি করেন, তিনি এই জমি আব্দুর রহমানের ফুফু লালমতি বেওয়ার কাছ থেকে বৈধভাবে ক্রয় করেছেন এবং তার নামে দলিলপত্র ও ১৯৬২ সালের রেকর্ড রয়েছে।
অপরদিকে, লাল মাহমুদের তিন পুত্র—আব্দুর রহমান, জহুরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম—জমিটিকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করছেন। তারা জানান, আবু বক্কর সিদ্দিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমিটি জোরপূর্বক দখলে রেখেছেন।
আব্দুর রহমান বলেন,
“এই জমি আমাদের বাব-দাদার। বহুবার স্থানীয়ভাবে সালিশ করা হলেও আবু বক্কর জমি ছাড়েননি। আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত রবিবার আমরা ঘর তুলে জমি দখলে নিই।”
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাও জানান, জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান হয়নি।
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,
“আমি জমিটি বৈধভাবে কিনেছি। আমার নামে দলিল রয়েছে, এবং ৬২ সালের রেকর্ডও আমার নামে। মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে, সেখানে সবকিছু প্রমাণিত হবে।”
বর্তমানে উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে মামলা কুড়িগ্রাম আদালতে চলমান রয়েছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন উভয় পক্ষই।
এদিকে জমি পুনরুদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বা আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।