১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোরআনের ইঙ্গিত—পিঁপড়ার দেহে কাঁচের উপাদান! বিজ্ঞান আজ প্রমাণ করল, যা আল্লাহ্ ১৪০০ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন!

কোরআনের ইঙ্গিত—পিঁপড়ার দেহে কাঁচের উপাদান! বিজ্ঞান আজ প্রমাণ করল, যা আল্লাহ্ ১৪০০ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন!

মাওলানা মুফতী এস এম মনিরুজ্জামানঃ

আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন:

﴿حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ﴾
“অবশেষে যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল, তখন একটি পিঁপড়া বলল: ‘হে পিঁপড়া সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর, যেন সোলায়মান ও তাঁর সেনাবাহিনী তোমাদের অজান্তে চূর্ণ-বিচূর্ণ না করে দেয়।”
—(সুরা আন-নামল, আয়াত ১৮)

এই আয়াতের “لَا يَحْطِمَنَّكُمْ” শব্দটি নিয়ে একসময় পশ্চিমা বিশ্বের ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গবেষক আপত্তি তোলে। তারা দাবি করে—“تحطيم” শব্দের অর্থ হলো ভেঙে টুকরো টুকরো করা বা চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, যা সাধারণত কাঁচ বা অনুরূপ কঠিন জিনিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাদের প্রশ্ন ছিল—পিঁপড়াকে পিষে মারা যায় ঠিকই, কিন্তু সেটা কি ভেঙে টুকরো করে দেওয়া যায়? তাহলে কি কোরআনে শব্দচয়ন ভুল হয়েছে?

এ দাবিকে কেন্দ্র করে তারা আনন্দিত হয়েছিল। ভাবছিল, অবশেষে কোরআনের একটি ভুল ধরতে পেরেছে! অথচ তারা জানত না—যে কিতাবকে তারা ভুল প্রমাণ করতে এসেছে, সেই কিতাবের প্রতিটি শব্দই পূর্ণ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও হিকমতের আলোক-উৎস।

বহু বছর পরে, অস্ট্রেলিয়ার একজন খ্যাতনামা প্রাণিবিদ যখন পিঁপড়ার উপর গবেষণা করছিলেন, তখন আশ্চর্য এক তথ্য উঠে আসে। গবেষণায় দেখা যায়—পিঁপড়ার দেহের বাইরের খোলস বা এক্সোস্কেলেটন প্রায় ৭৫% সিলিকা উপাদানে গঠিত, যেটি কাঁচের একটি মূল উপাদান। বলা যায়, এর দেহ কাঠামো অনেকটাই উন্নতমানের গ্লাস ফাইবার এর মতো শক্ত, কঠিন ও ভঙ্গুর। ফলে, সামান্য চাপেই মৃত পিঁপড়ার দেহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়, একদম কাঁচ ভাঙার মতো!

এই বৈজ্ঞানিক সত্য জানতে পেরে সেই অধ্যাপক আবেগে অভিভূত হয়ে পড়েন এবং একথা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি—এমন নির্ভুল জ্ঞান মানুষের পক্ষে ১৪০০ বছর আগে জানা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ওহি। তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব করেননি।

সুবহানাল্লাহ!
আজ বিজ্ঞান যা ধীরে ধীরে আবিষ্কার করছে, কোরআন তা বহু শতাব্দী আগেই জানিয়ে দিয়েছে। এটি কোনো কাহিনী নয়, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এক আলোকিত সত্য।

সম্পাদক : আলেমা আফরোজা খাতুন
বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক : মোছাঃ সমাপ্তি আক্তার

যোগাযোগ: ভূরুঙ্গামারী , কুড়িগ্রাম
মোবাইল: 01719-417006 / 01714-625816

© 2025 দৈনিক বাংলার জনপদ। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

About Author Information

দিনাজপুরে বিভিন্ন আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত

কোরআনের ইঙ্গিত—পিঁপড়ার দেহে কাঁচের উপাদান! বিজ্ঞান আজ প্রমাণ করল, যা আল্লাহ্ ১৪০০ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন!

Update Time : ০৭:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

কোরআনের ইঙ্গিত—পিঁপড়ার দেহে কাঁচের উপাদান! বিজ্ঞান আজ প্রমাণ করল, যা আল্লাহ্ ১৪০০ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন!

মাওলানা মুফতী এস এম মনিরুজ্জামানঃ

আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন:

﴿حَتَّىٰ إِذَا أَتَوْا عَلَىٰ وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ﴾
“অবশেষে যখন তারা পিঁপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল, তখন একটি পিঁপড়া বলল: ‘হে পিঁপড়া সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর, যেন সোলায়মান ও তাঁর সেনাবাহিনী তোমাদের অজান্তে চূর্ণ-বিচূর্ণ না করে দেয়।”
—(সুরা আন-নামল, আয়াত ১৮)

এই আয়াতের “لَا يَحْطِمَنَّكُمْ” শব্দটি নিয়ে একসময় পশ্চিমা বিশ্বের ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গবেষক আপত্তি তোলে। তারা দাবি করে—“تحطيم” শব্দের অর্থ হলো ভেঙে টুকরো টুকরো করা বা চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, যা সাধারণত কাঁচ বা অনুরূপ কঠিন জিনিসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাদের প্রশ্ন ছিল—পিঁপড়াকে পিষে মারা যায় ঠিকই, কিন্তু সেটা কি ভেঙে টুকরো করে দেওয়া যায়? তাহলে কি কোরআনে শব্দচয়ন ভুল হয়েছে?

এ দাবিকে কেন্দ্র করে তারা আনন্দিত হয়েছিল। ভাবছিল, অবশেষে কোরআনের একটি ভুল ধরতে পেরেছে! অথচ তারা জানত না—যে কিতাবকে তারা ভুল প্রমাণ করতে এসেছে, সেই কিতাবের প্রতিটি শব্দই পূর্ণ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও হিকমতের আলোক-উৎস।

বহু বছর পরে, অস্ট্রেলিয়ার একজন খ্যাতনামা প্রাণিবিদ যখন পিঁপড়ার উপর গবেষণা করছিলেন, তখন আশ্চর্য এক তথ্য উঠে আসে। গবেষণায় দেখা যায়—পিঁপড়ার দেহের বাইরের খোলস বা এক্সোস্কেলেটন প্রায় ৭৫% সিলিকা উপাদানে গঠিত, যেটি কাঁচের একটি মূল উপাদান। বলা যায়, এর দেহ কাঠামো অনেকটাই উন্নতমানের গ্লাস ফাইবার এর মতো শক্ত, কঠিন ও ভঙ্গুর। ফলে, সামান্য চাপেই মৃত পিঁপড়ার দেহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়, একদম কাঁচ ভাঙার মতো!

এই বৈজ্ঞানিক সত্য জানতে পেরে সেই অধ্যাপক আবেগে অভিভূত হয়ে পড়েন এবং একথা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি—এমন নির্ভুল জ্ঞান মানুষের পক্ষে ১৪০০ বছর আগে জানা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চয়ই মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ওহি। তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে বিলম্ব করেননি।

সুবহানাল্লাহ!
আজ বিজ্ঞান যা ধীরে ধীরে আবিষ্কার করছে, কোরআন তা বহু শতাব্দী আগেই জানিয়ে দিয়েছে। এটি কোনো কাহিনী নয়, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এক আলোকিত সত্য।